Breaking

Thursday, 22 August 2019

সেন বংশের পতনের কারণ

সেন বংশের পতনের চিত্র এর ছবির ফলাফল
সেনদের ধংষের চিত্র
ভূমিকা::::
 একাদশ শতাব্দীতে পাল বংশের পতনের পর বাংলায় সেন বংশের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হয়। দক্ষিণ্যত্যের কর্ণাট দেশ সেন বংশের রাজাদের আদি বাসভূমি। দাক্ষিণ্যত্যে থাকাকলীণ তার প্রথমে ব্রাহ্মণ ছিলেন। কালক্রমে তারা ব্রাহ্মণ্য বৃত্তি ত্যাগ করে ক্ষত্রিয় বৃত্তি গ্রহন করেন  এবং ক্ষত্রিয় নামে পরিচিত হন।

**পৃথিবীতে উথান, পতন, বিকাশ, এটি একটি চরম সত্য বানী ।অনেক বড় সাম্রাজ্যে ধ্বংস হয়েছে  বলে নজির পাওয়া যায় ঠিক তেমনি বাংলায় সেন বংশেরর ও চির অবসান ঘটে।সেনরা কর্নাট থেকে বাংলায়ে এসে পালদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা দক্ষল করেন।সামন্ত সেনের হাতে সেন বংশ প্রতিষ্ঠা হয়, বিজয় সেনের হাতে সেন বংশ পরিপূর্ণতা লাভ করে।আর বল্লাল সেন ও লক্ষ্মণ সেন এর হাতে সেন বংশ চরম উন্নতি সাধন করে। অবশেষে সময়ের সন্ধিক্ষনে ১২০৪ খ্রিঃ বখতিয়ার খলজী লক্ষ্মন সেনকে পতনের মধ্যে দিয়ে বাংলা থেকে চিরতরে সেন বংশের অবসান ঘটে।
##সেন বংশের পতনের করণ সমূহ::::::::::
(১)ইবনে খালদুনের মতামত:: 
ইবনে খালদুন মানুয়ের জীবন কাল কে ১২০ বছর মনে করেন। কোন সাম্রাজ্যের জবিনকালও একই। তিনি কাল সদ্ধিক্ষনের অনুযায়ী বলেন একটি সাম্রজ্যে তিন পুরুষ অধিক স্থায়ী হয় না। তিনি এক এক পুরুষকে ৪০ বছর করে ধরে মোট তিন পুরুষের ১২০ বছর ধরেছেন।সুতরাং বাংলায় সেন বংশ একই রকম ছিলো।

(২)শ্রেণি দ্বন্দ্ব:::::
শ্রেনি দ্বন্দ্ব ছিল সেন কংশের পতনের অন্যতম কারণ । সেন রাজারা কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তন করেন। এই প্রথার ফলে মূলত জাতিভেদে দেখা যায়।ব্রহ্মনরা সাধারনত কুলীন গোত্রীয় শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল। আবার কায়স্থরা কুলীন কায়স্থ ও মৌলিক কায়স্থ ইত্যাদি শ্রেনিতে বিভক্ত ছিল।যায় ফলে সমাজে শ্রেণি বৈষম্য দেখা দেয় যা পরে শ্রেনি দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। সেনরা জাতিভেদ করে কঠোর অনুসাশন  করতো। সেনরা ব্রাহ্মনাদের দিয়ে উচু জাত এবং নিম্ন জাত নির্নয় করেতেন। আর সমাজের উচ্চ শ্রেণিরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতো।
(৩)পরধর্মে সহিঞ্চুতার অভাব::::: 
বাংলায় পালরা পর ধর্মের প্রতি সহিঞ্চু ছিলেন । কিন্তু সেনরা তা ছিলো না।এটা ও পতনের অন্যতম কারণ।

(৪)প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা::::::::::: 
বাংলা সেন শাসনমলে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সেনরা তাদের পছন্দ মতো প্রশাসনের লোক নিয়োগ করোত । ফলে অনেক লোক অযোগ্য এই প্রশাসনিক খাতে ঢুকে পরতেন। সেই সময় থেকে প্রশাসনিক খাত দুর্বল হতে থাকে ।এভাবে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

(৫) অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ::::: 
সেনদের পতনের অন্যতম কারণ অভ্যন্তরীন বিদ্রোহ। সেন রাজা লক্ষ্মণ সেনের দুর্বলতায় সুযোগ নিয়ে সুন্দরবনের শাসক ডেম্মন পাল একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। আর মেঘনা নদীর তীরে মুধুমথনদেব “স্বাধীন দেব বংশ” প্রতিষ্ঠা করেন।তখন লক্ষ্মণ সেন তার প্রতিকার করতে পারে নিই।

(৬)যেগ্য শাসকের অভাব:::::::::: 
বিজয় ,লক্ষ্মণ সেনের পর সেন বংশে তেমন কোন শক্তিশালী ও দক্ষ  শাসক ছিলো না। লক্ষ্মণ সেন এর পর আর কোন যোগ্য শাসক আসেনি। ১২৬০ খ্রিঃ পর্যন্ত সেনদের বাংলায় অস্তিত টিকে ছিলো। কিন্তু তারা ছিলো অযোগ্য।

(৭)সামরিক বাহিনীর দুর্বলতা:::::::
লক্ষ্মণ সেন আমলে সামরিক বাহিনী ছিলো দুর্বল শাসক। এই সামরিক বহিনীর পূর্বে মতো কোন ধৈর্য শক্তি ছিলো না। ফলে এই দুর্বল বাহিনী বিদেশীদের হাতে পরাস্থ হয়।

(৮)জনসমর্থনের অভাব:::::::
 সেন রাজদের প্রতি জনগনের কোন সমর্থন ছিলো না। সেনরা সামজে ৪ টি শ্রেণিতে বিভক্ত করে উচ্চ শ্রেণির সাথে নিচু জাতের বিবাহ বন্ধ করে দেয়। আবার সামাজিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেণ। সমাজের বেশীর ভাগ মানুষ ছিলো নিচু জাতের। তাদের সমকিছু থেকে বঞ্চিত করা হতো।
(৯) শাস্ত্রের ইঙ্গিত::::::::
১২০৩ খ্রিঃ বখতিযার খলজী বিহার জয় করলে সেন বংশের পন্ডিতরা  লক্ষ্মণ সেন কে সাবধান করে দেয়। লক্ষ্মণ সেন এই ভীতি কাটিয়ে তোলার জন্য ইন্দ্রিয় মহাশক্তি যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেছিলেন।এই যজ্ঞে পন্ডিতরা বলেন বঙ্গ তুর্কী শাসক কর্তৃক হস্ত ক্ষেপ হবে। তারা আরো তুর্কী শাসকের দৈহিক বর্ননা দিয়েছিলেন যা বখতিয়ার খলজীর সাথে মিলে যায়।

(১০) অর্থহৈনিক কারণ:::::::::
পতনের সময় সেন সাম্রজ্যের অর্থনীতি একেবারে ভেঙ্গে পড়ে। বিভিন্ন বিশৃঙ্খলায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়।







 

No comments:

Post a Comment