Breaking

Friday, 18 October 2019

জহির রায়হান এর উপন্যাস কয়েকটি মৃত্যু

জহির রায়হান এর উপন্যাস কয়েকটি মৃত্যু এর ছবির ফলাফল
কয়েকটি মৃত্যু
লেখক ও উপন্যাস এর পরিচিতি::::::::::::
জহির রায়হান এর উপন্যাস  “বরফ গলা নদী” ১৯৬৯ সালে প্রকাশ পায় বলে প্রকাশ পায় বলে মনে করা হয়।উন্যাসটি অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করা হয়।প্রথমে অনুপম সংস্করণ করে জানুয়ারী ১৯৯৮ আর অষ্টম মুদ্রণ হয় এপ্রিল ২০১৯ সালে।উপন্যাসটির মূল্য ১৪০ টাকা।উৎসর্গ করা হয়েছে কাইয়ুম চৌধুরী  বন্ধুবরেষু।
জহির রায়হানের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১৯ আগষ্ট ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে করেন কলকাতা থেকে।আর হাই স্কুল শেষ করেন ফেনীর আরিমাবাদ থেকে।কলকাতায় একটি পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন।১৯৫৮ সালে ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ সম্মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।তিনি চলচ্চিত্র জগতে  প্রবেশ করেন ১৯৫৬ সালে।তার প্রথম চলচ্চিত্র “কখনো আসেনি” মুক্তিলাভ করে ১৯৬১ সালে।ছাত্রজীবনে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ “সূর্যগ্রহণ” প্রকাশিত হয়।১৯৬৪ সালে তার “হাজার বছর ধরে” উপন্যাসটির জন্য তিনি আদমজী  পুরস্কার লাভ করে।১৯৭০ সালে মুক্তিলাভ করে তার পরিচালিত “জীবন থেকে নেয়া” চলচ্চিত্র ।১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি বড় ভাই শহিদ সাংবাদিক - ঔপন্যাসিক শহীদুল্লা কায়সারকে খুজতে গিয়ে তিনি  নিখোজ হন। ১৯৭২ সালে জহির রায়হানকে  বাংলা একাডেমী পুরস্কার  দেয়া হয়।

কয়েকটি মৃত্যুর উপন্যাসটি চরিত্র সমূহ::::::::::
*আহমদ আলী শেখ

*জেহরা খাতুন(আহমদ আলী শেখ স্ত্রী)

*মনসুর(বড় ছেলে /আহমদ আলীর চার পুত্র এক মেয়ে ছিলো)

*আহসান(মেজো ছেলে)

*মকবুল(সেজো ছেলে)

*শামছু(ছোট ছেলে)

*আমেনা(মেয়ে)

*আবদুল(চাকর)

*রসুল(মনসুর এর ছেলে)

*পেচি(আহসান এর মেয়ে)

#উন্যাসটির কাহিনীর সারসংক্ষেপ:::::::::::::::::::::::::
এই গল্পটি  একটি স্বপ্নকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এখন আহমদ আলীর বয়স ৬০ এর কাছাকাছি।তার চার ছেলে  বড়  ছেলে উকিল,মেজো ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, সেজো ছেলে পাটের কারবারি, ছোট ছেলে শামছু। শামছু সারা বছর পেটের  ব্যাথায় অসুস্থ থাকে।আহমদ আলী সারা জীবন অনেক কস্ট করছে।
আহমদ আলী একদিন একটি  স্বপ্ন দেখেন।  যে চারটি সাদা কাপড়ে ঢাকা মূর্তি এসে খাটের চারপাশে দাড়ালো।আহমদ আলী  এই  একই স্বপ্ন আরো একুশ বছর আগে দেখেছিলেন। সেইবার স্বপ্ন দেখার পরদিন তার আব্বা আর সেজো ভাই হঠাৎ মারা যাই।আবার সেই স্বপ্ন যখন একুশ বছর পর দেখেন তখন তিনি সবাইকে বলেন আবার কোন অঘটন ঘটতে চলেছে। তখন তার ছেলে মেয়ে সবাই ভয়ের মধ্যে জবীন যাপন করতে থাকে।তাদের প্রত্যেকের বউ তাদের সম্পদের ভাগাভাগির কথা বলে আর বড় ছেলে মনসুর সেই কথা শুনে নামায পড়া শুরু করে।কারণ তার ওকালতিতে অনেক গুনা ছিলো।সেজো ছেলে মকমুল পাটের ব্যবসায়  গননা করতে থাকে। আর ছোট ছেলে ধরে নিয়েছে  যে সেই পেটের ব্যাথাই  মারা যাবে।অবশেষে তাদের বাড়ির চাকর আবদুল এর স্ত্রী  গর্ভবর্তী ছিলেন তখন তার অবস্থা বেশ  খারাপ ছিলো। সবাই ধরে নিয়েছে যে তার স্ত্রী মারা যাবে তাদের সমস্যা দূর  হবে । কিন্তু কিছু কখন পর তার  স্ত্রী জম্মজ সন্তান এর জন্ম দেয়।সুতরাং স্বপ্নে দেখার পরিপেক্ষে ঘটনা ভুল হয় । 







No comments:

Post a Comment