Breaking

Friday, 12 April 2019

পুনরুজ্জীবিত পাল সাম্রাজ্যে ও প্রথম মহীপালে এর শাসন আমল

Image result for পাল রাজা প্রথম মহীপালের আমলে কিছু চিত্র
পাল আমলের চিত্রকলা
প্রথম মহীপালের
(৯৯৫-১০৩৪ খ্রি)



প্রথম মহীপালের পরিচয়::::::::::::
প্রথম মহীপাল দ্বিতীয় বিগ্রহ পালের পুত্র।দ্বিতীয় বিগ্রহ পালের মৃত্যুর পর আনুমানিক ৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম মহীপাল সিংহাসনে আরোহণ করেন। প্রথম মহীপাল সিংহাসনে বসার পূর্বে তার পিতা ২য় বিগ্রহ পালের আমলে পাল সম্রাজ্যে প্রায় বিলুপ্ত পথে ছিল। ১ম মহীপাল সিংহাসনে বসে তার বীরত্ব,সাহস,
উদ্যমশীল হয়ে এবং নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে যুদ্ধ- বিগ্রহ মেধা ও কৌশলে পাল বংশের লুপ্ত গৌরব কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।তিনি ধর্মপাল, দেব পালের মতো দ্বিগবিজয়ী ছিলেন।
প্রথম মহীপালের সময় (অঙ্গ ও মগধকে) কেন্দ্র করে পাল সাম্রাজ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এই সময় পালদের আদি বাসস্থান উত্তর বাংলায় ও ভিন্ন রাজ শক্তির উদ্ভব হয়েছিল।১ম মহীপাল এই বিপর্যয় আবস্থায় মধ্য থেকে তাদের আদি নিবাস উত্তর বাংলা পুনরূদ্ধার করেছিলেন এবং নিজ রাজ্যকে বিস্তার করেছিলে এবং নিজ রাজ্যকে বিস্তার করেছিলেন।

#ড.আব্দুল মুমিন চৌধুরী তার “Dynastic  History  of Bengal " গ্রন্থে বলেন-১ম মহীপাল এমন কৃতিত্বের জন্য তাকে পাল সাম্রজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।

#ড.রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ১ম মহীপাল অর্ধশতাব্দীব্যাপী রাজত্বকালে পাল বংশের গৌরব আবার  উদিত হয়েছিলো। তিনি পাল সাম্রাজ্যেকে আবতনির হাত থেকে রক্ষা করে পুনরায় পাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করে যে কীর্তি অর্জণ করেন,তা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

# ১ম মহীপালের রাজত্বকালে আলোচনার জন্য যেসব ঐতিহাসিক উপাদান ব্যবহৃত হয়ে থাকে সেগুলো হলো-
(১) বেলওয়া তাম্রশাসন 
(২) বানগড় তাম্রশাসন ;(দিনাজপুর)
(৩) সারনাথ লিপি
(৪) ইমাদ পুর লিপি
(৫)ত্রিপুরা লিপি
(৬) নালন্দা লিপি
(৭) কুমিল্লা জেলার বাঘাউরা ও নারায়নপুরে প্রাপ্ত দুটি মূর্তিলিপি।
প্রভৃতি প্রত্মতাত্ত্বিক উপাদান ও সমকালীন  কিংবদন্তি।
*প্রথম মহিপাল পিতৃরাজ্য বা উত্তর ও পশ্চিম বাংলা পুনরুদ্ধার::::::::::::::::::::
প্রথম মহীপাল সিংহাসনে বসে তার  পিতৃরাজ্য গুলো পুনরুদ্ধার করেন।
বেলওয়া তাম্রশাসন ও দিনাজপুর বানগড় তাম্রশাসন উল্লেখ করা হয়েছে যে-১ম মহীপাল উত্তর বাংলা তথাপি বরেন্দ্রে ভূমিদান করেন।সন্ধ্যাকর নন্দী তার রামচরিত কাব্যে থেকে বরেন্দ্রকে পালদের জনকূপ বা পিতৃভূমি বলে অভিহিত করেছেন। পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল ও বরেন্দ্রই তার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এই রাজ্য পরবর্তীতে পশ্চিম বঙ্গে বিস্তূত হয়। ১ম মহীপালের পিতা ও পিতামহ আমলে বরেন্দ্র কম্বোজদের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর বরেন্দ্রই উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত ছিল। ১ম মহীপালের পিতা ও পিতামহ  আমলে উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ জুরে কম্বোজদের রাজ্য বিস্তার ছিল। পরবর্তীতে ১ম মহীপাল সিংহাসন আরোহণ করে ৫ বছরের মধ্যেই বরেন্দ্র দখল করে নিজ রাজ্যভুক্ত করে। তিনি কম্বোজদের হাত থেকে বরেন্দ্র তার নিজ রাজ্যভুক্ত করেছিলে।
*বাংলায় চোল আক্রমণ:::::::::::::
 চোল রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কারিকল। চোল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন প্রথম রাজেন্দ্র চোল।১ম মহীপালের সমসাময়িক চোলরাজ রাজেন্দ্র চোল দাক্ষিণাত্যের অত্যন্ত শক্তিশালী শাসক ছিলেন। চোল রাজ রাজেন্দ্র চোল বাংলাই অভিযান ১ম মহিপালের রাজত্বকালের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। মূলত চোল রাজা রাজেন্দ্র চোল রাজ্য ছিল দক্ষিণ রামেশ্বর সেতুবন্ধন হতে উত্তর উড়িষ্যা হয়ে ভারতের পূর্ব উপকূল পর্যন্ত বিস্তার। চোল রাজা রাজেন্দ্রচোলের সেনাপতি বঙ্গের সীমান্তে উপস্থিত হয়ে দন্ডভুক্তিরাজ ধর্মপাল এবং দক্ষিণে রাঢ়রাজ রণশূর -কে পরাজিত করে তাদের রাজ্য অধিকার করেন। তিনি বঙ্গদেশে আক্রমণ করে রাজা গোবিন্দ চন্দ্রকে ও পরাজিত করেন। অতঃপর ১ম মহিপালকেও যুদ্ধে চোল রাজ রাজেন্দ্র চোল পরাজিত করে। সুতরাং চোল রাজা রাজেন্দ্র চোল ১ম মহীপালকে পরাজিত করে গঙ্গোইকোন্ড  উপাধি ধারণ করে। ১ম মহীপাল যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ভীত হয়ে পলায়ণ করলে চোলরাজ রাজেন্দ্র চোল-এর সেনাপতি- ধনরত্ন,রনহস্তী ও নারীগনকে লুন্ঠন করেন। চোল রাজা রাজেন্দ্র চোলের বাংলা আক্রমণের মূল উদ্দেশ্য হল- গঙ্গাজল এনে চোলরাজ্য ও রাজধানী ধৌত ও পবিত্র করা। চোল রাজা গঙ্গাজল ছাড়া বাংলা বিজয়ের মধ্যে আর কোন সাফল্য ধরে রাখে নি। তারা বাংলা রাজাদের পরাজিত করেও কেবল গঙ্গাজল ছাড়া বাংলা বিজয়ের মাধ্য আর কোণ সাফল্য ধরে রাখে নি। তারা বাংলা রাজাদের পরাজিত করেও কেবল গঙ্গাজল নিয়েই এদেশে ত্যাগ করেছিল।চোল বংশের শেষ শক্তিশালী  রাজা ছিলেন চোল রাজ কুলোতুঙ্গ। এ ঘটনার মাধ্যমে ১ম মহীপালের বিজয় তথ্য পাওয়া না গেলে ও চোল রাজাদের সাফল্য থেকে বঞ্চিত করা ও নিজ রাজ্যকে অক্ষুন্ন রাখার সাফল্য নিঃসন্দেহে প্রথম মহিপালকে দিতেই হয়। সুতরাং এ ঘটনাকে নিঃসন্দেহে মহিপালের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
*মিথিলা ও বারানসী বিজয় /বিতর্ক::::::::::::::::::::::::::
১ম মহীপালের সারনাথ লিপির ভিতিতে অনেক ঐতিহাসিক ধারনা করেন যে, ১ম মহীপাল সারনাথ ও বারানসী অধিকার করেছিলেন।সারনাথ ও বারনসী ১ম মহীপাল সাম্রাজ্যে থেকে পশ্চিমদিকে অবস্থিত ছিল। সারনাথ ও বারানসী কাছাকাছির স্থানে অবস্থিত। সারনাথে গৌতম বুদ্ধ প্রথম ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন। তাই এখানে একটি বৌদ্ধ তীর্থস্থান অবস্থিত। সারনাথ লিপিটি ১০২৬ খ্রি, উৎকীর্ণ। সারনাথ লিপির প্রভৃতি ধর্মীয়। ১ম মহীপালের আদেশ সারনাথের পুরাতন মন্দিরগুলো সংস্কার করেন এবং নতুন নতুন মন্দির নির্মাান করেন। এতে পবিত্র ধর্ম চক্র বৌদ্ধ স্থাপনাগুলোর সংস্কার সাধিত হয়। মহিপাল নিজেও সারনাথ সফর করেন এবং সেখানে কাশীর ধর্মগুরু গুরব বামরাশির পাদ আরাধনা করেন।সারনাথ লিপির ভিতিতে ১ম মহীপালে সারনাথ ও বারনসী বিজয় করেছিলেন বলে ধরনা করা হয়। কিন্তু রমেশ মজুমদার মতে েএমন তথ্য  একটিমাত্র লিপিতি তিনি যথেষ্ট মনে করেন নিই। তিনি সেই বিষয় তার যুক্তি উপস্থাপন করেনছে:::::::::::::::সারনাথ লিপির কোথাও ১ম মহিপালের সারনাথ ও বিজয় -এর কথা স্পস্ট ভাবে উল্লেখ নেই। সারনাথ লিপির বৈশিষ্ট ছিল ধর্মসংক্রান্ত এবং সারনাথে বৌদ্ধ ধর্মের তীর্থস্থানে জন্য বিখ্যাত। সুতরাং বৌদ্ধ তীর্থস্থান হওয়া সারনাথে  যে কোন রাজা বা শাসক সফর করতে পারত। অনুদানের জন্য যে কোন রাজা বা শাসক সারনাথে যেতে পরবে। ১ম মহীপাল একজন বৌদ্ধ ধর্মের শাসক ছিলেন। তিনি সারনাথ বৌদ্ধতীর্থে গেছেন অথবা অনুদানের জন্য গেছেন। অর্থাৎ তার এই সারনাথে যাওয়া কোনক্রমেই প্রমান হয় না- যে সারনাথে রাজ্য বিস্তার করেছিলেন।মুমীন চৌধুরী যুক্তি সমূহ:::::::::::::::::১০২৬ খ্রি. সারনাথ লিপি উৎকীর্ন করা হয়েছে। ১০৩৪ খ্রি. সারনাথ-বারনসী-কলচুরিরাজ গাঙ্গেয়দেবের অধীনে ছিল। ১ম মহীপাল গাঙ্গেদেবকে পরাজিত করে তীরভুক্ত করে-সারনাথ-বারানসী দখল করেছে। তিনি সেখানে তীর্থ স্থানের জন্য গিয়েছিলে তথা অনুদানের জন্য গিয়েছিলেন।কিন্তুু এটা অবাস্তব নয় যে ১ম মহীপাল সারনাথে বেশী দিন স্থায়ী হন নি। গাঙ্গেদেবকে তাকে সেখান থেকেই বিতারিত করেছিলেন।
*গজনীর সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযান ও প্রথম মহিপালের কৌশলগত অবস্থান:::::::::::::::
সুলতান মাহমুদ ভারতে ১৭ বার অভিযান ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে। ভারতে পশ্চিমা অংশ গজনীর সুলতান এর অভিজান উল্লেখযোগ্য।গজনীর সুলতান ভারতে আগমন করে প্রতীহার রাজ্য ধ্বংসের মুখোমুখি নিয়ে আসে। তার আক্রমনে অনেক নগর মন্দির ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।ভারতের অভিযানে মাধ্যমে সুলতান মাহমুদের বাহিনী অজস্র সম্পদ নিয়ে তাদের রাজধানী গজনী নিয়ে যায়।গজনীর সুলতান মাহমুদকে প্রতিরোধ করার জন্য ভারতের বহু রাজ্য একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়।তাদের এই অভিযান ধর্মীয় যুদ্ধের রূপ নিয়ে সকল হিন্দুদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাড়ানো একটি মঞ্চ হিসেবে ঘোসনা করে।হিন্দু রাজ্য গুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধে অংশ নিলে ও ১ম মহীপাল যুদ্ধে অংশ নেই নিই। এই কারণে কোন কোন ঐতিহাসিকরা ১ম মহীপালকে কাপুরুষ বলে অভিযুক্ত ও তিরস্কৃত করেছেন। কিন্তু মহীপালকে  এই করণে কাপুরুষ বলা ঠিক নয়। কারণ গজনীর সুলতান যখন ভারতে আগমন করে তখন ১ম মহীপাল পিতৃরাজ্য বরেন্দ্র জয় ও চোল রাজ্য,কলচুরি রাজাদের সাথে সংঘর্ষে ছিল। সুতরাং তার এইযুদ্ধে বিগ্রহ কারণে তেমন কোন সময় হয়ে উঠে নি। এ ছাড়া ও এ সম্স্ত যুদ্ধে তার দেয়ার মতো সৈন্যরা সকলেই বিভিন্ন যুদ্ধে লিপ্ত ছিল।ড.নীহার রঞ্জন বলেন, গজনীর সুলতান মাহমুদের আগমণ, ১ম মহীপালের জন্য ভালো হয়েছে। কারণ গজনীর সুলতান মাহমুদকে ভারত থেকে তারনোর জন্য হিন্দু রাজ্য গুলো যুদ্ধে ব্যস্ত ছিল। সুতরাং ১ম মহীপালের পক্ষে তার পিতৃরাজ্য গুলো জয় করা সহজ ছিল। অর্থাৎ তিনি বাস্তব চিত্র অনুধাবন করে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে  নেই এবং সৈন্য নিয়োগ করে নিই। ১ম মহীপাল জন্য দূরদর্শিতা ও কৌশলগত অবস্থান।
#১ম মহীপালের ধর্মপরায়ণ:::::::::::::::::::::::
১ম মহীপাল বৌদ্ধ ধর্মের একজন উদার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১ম মহীপাল সারনাথ লিপি থেকে জানা যায়-বৌদ্ধ সংস্থার রামরাশির চরনে মাথা ঠেকিয়ে আরধনা করেছিলেন। সারনাথ -এ পুরাতন মন্দির গুলো নতুন ভাবে নির্মাণ করেছে প্রথম মহীপাল।প্রথম মহীপাল বুদ্ধ গয়ায় দুটি বৌদ্ধ মঠ ও কাশীধামে কয়েকটি হিন্দু মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। ১ম মহীপাল নালন্দায় অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হওয়া মহাবিহার ও মন্দির সংস্কার করেছিলেন।১ম মহীপালের সময় পাহাড়পুর মহাবিহার সংস্কার ও নির্মাণ হয়েছিল।তিব্বতি সঙ্গে বাংলার সাংস্কৃতির যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ ছিল। সুতরাং এই সমস্থ কর্মকান্ডে বলা হয়, ১ম মহীপাল একজন নিবেদিত প্রাণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলেন । বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার থেকে মাধ্যমে ধর্মপ্রাণে শাসক হিসেবে  প্রমাণ করে। ১ম মহীপালকে ধর্মীয় সহিষ্ণু ও সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ও মনে করা যায়।তিনি অশোক স্তূপ “সাঙ্গ ধর্মচক্র” ও  “অষ্টমহাস্থান” “শৈল বিনির্মিত গন্ধকুটী” প্রভৃতি প্রাচীন বৌদ্ধ কীর্তির সংস্কার করেছিলেন।পাহাড়পরের ধ্বংসাবশেষও প্রথম মহীপালের সময় সংস্কার ও নির্মাণ কার্যের প্রমাণ পাওয়া যায়।
#১ম মহীপালের জনহিতকর কার্যক্রম::::::::::::::::::
১ম মহীপাল ধর্মীয় ও জনহিত কার্যাবলির জন্য জনসাধারণে কাছে পৌছাতে পেরেছিলেন। তিনি দিঘি খনন ও নগর নির্মাণ করে জনগনের হৃদয়ে মনিকোঠায় স্থায়ী আসন অধিকার করেছেন। বাংলার অনেক দিঘি নগরী এখনো তার নামের সাথে জরিত হয়ে আছে। যেমন-দিনাজপুরে মহিপাল দিঘি এবং মুর্শিদাবাদের মহিপাল সাগর দিঘি এখানে তার স্মৃতি বহন করে চলেছে।অনেক নগরী সৃষ্টি করেছেন। রংপুর জেলার মহীগঞ্জ, বগুড়া জেলার মহীপুর,নওগাঁ জেলার মহীসন্তোষ-নগরগুলী আজৗ ভাস্বর হয়ে আছে। ষোল শতকে মহিপালের গীতিকা জনপ্রিয়তা ছিল। ধান ভানার সময় মহীপালে গীত প্রভৃতি লোকপ্রবাদ: মহিপালের জনপ্রিয়তা প্রমান করে।তার জনহিতক কার্যবলির কারনেই তিনি বাংলার মানুষের কাছে এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।


No comments:

Post a Comment