সম্রাট জাহাঙ্গীর (১৬০৫-১৬২৭) |
পরিচয়:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
নুরুদ্দীন মহাম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ৩০ অগাস্ট ১৫৬৯ A.D ফতেহপুর সিকরিতে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা আকবর আর মাতা যোধাবাই । জাহাঙ্গীর এর ১৭ জন স্ত্রী ছিল এর মধ্য উল্লেখযোগ্য হল নুর জাহান, শাহিব-ই- জামাল, তাজ বিবি মিলকিস মাকানি। জাহাঙ্গীর পুত্র খসরু, পারভেজ, শাহজাহান। ১৬০৫ A.D ৩ নভেম্বর সেলিম, নূর উদ্দীন মুহম্মদ জাহাঙ্গীর পাদশহ গাজী উপাধি নিয়ে সিংহাসন আরোহন করেন। সিংহাসনে আরোহন করে তিনি রাজ্যের সীমানাবৃদ্ধি, শান্তি-শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রথমে একটি সোনার শিকল প্রস্তুত করে এর এক প্রান্ত প্রাসাদের শাহ বুুরজে এবং অপর প্রান্ত যুমনা নদীর তীরে একটি প্রস্তর সঙ্গে বেধে দেন । রাজ্যের বিচারলয়গুলোতে ন্যায়বিচার করতেন। এরপর তিনি প্রজাদের মঙ্গলার্থে ১২ টি অনুশাসন জারি করেন।সম্রাট জাহাঙ্গীরের নাম সেলিম রাখার কারণ । শাহজাদা সেলিম ছিলেন আকবরের অনেক সাধনার পুত্রসন্তান।আকবরের প্রথমে বয়সে তার অনেক পুত্র সন্তানই মৃত্যুবরণ করেছিলো। তিনি একটি পুত্র সন্তান পাওয়ার জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষায় ও প্রর্থনা করতেন। পুত্র সন্তান লাভের জন্য তিনি দরবেশের দরবারে মানত করতেন।আজমীর খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরবারে এই উদ্দেশ্য বেশ কয়েক বার যান।বিখ্যাত সাধক শেখ সেলিম চিশতীর দরবারে সম্রাট আকবর প্রতি সাপ্তহে দরবারে যেতেন। অবশেষে পীর সাহেব বলেন সম্রাটের ঘরে তিনটি পুত্র সন্তান জন্ম নিবে। অতঃপর১৫৬৯ সালে সাহাজাদ সেলিম জন্ম গ্রহণ করেন।পীর সাহেবের নাম অনুসারে সম্রাট আবকর সন্তানের নাম রাখেন সেলিম। মানত পূরণের জন্য আকবর পায়ে হেটে আজমীরে মঈনুদ্দিন চিশতীর দরবারে যান।
পরিচয়:::::::::::::::::::::::::::::::::
নূরজাহানের পূর্বনাম ছিল মেহের- উন- নিসা । নূরজাহান বা জগতের আলো সম্রাট জাহাঙ্গীর এর দেয়া নাম । তার পিতার নাম মির্জা গিয়াস বেগ মাতা আসমত বেগম ধর্ম শিয়া ইসলাম।তার বাবা ও মা তেহেরান থেকে ভাগ্যর সন্ধানে হিন্দুস্তানে আসছিলেন তখন পথের মধ্যেই নির্জন মরু প্রন্তে এক বাবলা গাছের তলায় জন্ম হয় মেহেরুনন্নিসার। ১৫৭৭ সালে কান্দহার জ্ন্মগ্রহন করেন।
সম্রাজ্ঞী নূরজাহান:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
ইংরেজ দূত টমাস রো লিখে গেছেন মেনের আসলে দেশ শাসন করন।জাহাঙ্গীর ছিল নাম কেওয়াস্তে সম্রাট । সেই সময়কার মুদ্রাতে জাহাঙ্গীর এর সঙ্গে নুরজাহানের ছবিও ছাপা হত। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে রাজ্য পরিচালনা করতেন । জাহাঙ্গীর এর রজত্তের শেষ দিকে যখন তারা ছেলে খুররম ও সেনাপতি মহাব্বত খা বিদ্রোহ করেন তখন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন নুরজাহান।।
মেহের বিয়ে ঠিক হয় তুর্কিস্থানের খানদানি বংশের আলি কুলি বেগ এর সঙ্গে । আলি কুরি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ,নির্ভীক, যুবক। একলা খালি হাতে বাঘ মারার জন্য তার নাম হয় শের আফগান। শোনা যায় মেহের একবার যুবরাজ সেলিমের নজরে পড়ে জান । সেলিম মেহের কে বিয়ে করার জন্য সম্রাট আকবর এর কাছে আর্জি জানাই। কিন্তু নিজের বংশ মর্যাদার কথা ভেবে সেলিমকে নিষেধ করে আলি কুলির সঙ্গে মেহেরের বিয়ে দেন । মেহেরের বয়স তখন ষোল । বিয়ের পর স্বামী সঙ্গে চলে যান বর্ধমান ।:
# সম্রাট জাহাঙ্গীর সাথে বিয়ে::::::::::::::::::::::::::
আলি কুলি খান এর মৃত্যু পর মেহেরকে আগ্রাতে নিয়ে আসা হয়। তখন মেহেরের বয়স ৩৩। ওই বয়স এও তিনি অপূর্ব রূপসী ছিলেন। মুঘল হেরেমে থেকেও দীর্ঘ চার বছর সম্রাটকে দেথে নাই। ১৬১১ A.D মহেরের সাথে সর্বপ্রথম মীনাবাজারে দেখা হয় এবং সেখানে তাকে বিবাহ প্রস্তাব দেন । তারপর আর না করতে পারলেন না সম্রাটকে ফেরাতে ৩৭ বছর বয়েসে বিয়ে করেন জাহাঙ্গীরকে।
মৃত্যু::::::::::::::::::::::::::::::::::::
নুরজাহানের শেষ জীবন সুখের হয় নি। তার বিরাট উচ্চাকাঙ্ক্ষা তার জন্য দায়ী । জাহাঙ্গীর এর মৃত্যু পর নুরজাহানও লাহোরেই থেকে যান শেষ পর্যন্ত। অবশেষ ৭২ বছর বয়েসে শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেন । আর লহোরে তার সমাধিসৌধ করা হয় ।।
খসরুর বিদ্রোহ (১৬০৬A.D):::::::::::::::::::::::::::::
জাহাঙ্গীর রাজত্ব কালে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা হল পুত্র খসরুর বিদ্রোহ । খসরু র বিদ্রোহ একটি আকস্মিক ঘটনা নয় । আকবর এর রাজত্ব কালে যখন সেলিম সিংহাসনের জন্য অসহিষ্ণু হয়ে উঠে তখন আমিরগনরা সেলিমের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তার জ্যেষ্ঠপুত্র খসরুকে সিংহাসনে বসানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। জাহাঙ্গীর সিংহাসনে বসে খসরুকে আগ্রা দুর্গে আধা বন্দি আবস্থা রাখেন । খসরুর একদিন পিতামহের কবর জিয়ারতের ভান করে তিনশত ৫০ জন অশ্বরোহীর রাজধানী ত্যাগ করেন।
লাহোরের পথে তারান নামক স্থানে শিখ গুরু অর্জুন তাকে আশীর্বাদ করেন এবং অর্থ দিয়ে তাকে সাহায্য করে। তারপর খসরু লাহোর অবরোধ করেন। কিন্তু লাহোরের গভর্নর দিলওয়ার খানের প্রতিবন্ধকতার ফলে খসরু লাহোর দখল করতে ব্যর্থ হন।
জাহাঙ্গীর খসরুর বিরুদ্ধে সৈন্য নিয়ে লাহোরের দিকে অগ্রসর হন । ডাইরোয়াল নামক স্থানে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।যুদ্ধে বিদ্রোহীরা পরাজিত হয়ে কাবুলের দিকে পারয়ন করেন ।কিন্তু চেনাব নদী অতিক্রম করার সময় বিদ্রোহীরা ধরা পরে । খসরু তার সাথীদের বন্দি অবস্তায় জাহাঙ্গীরের সামনে হাজির করা হয় । সম্রাট খসরুকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন আর তাদের সাথিদের কঠিন শাস্তি দেয় । আর গুরু অর্জুনকে বন্দি করে রাখা হয় । পরে বন্দি অবস্থায় তার মৃত্যু হয় । এতে শিখদের সাথে মুঘলদের সম্পর্কের তিক্ত হয় ।
১৬০৭ A.D জাহাঙ্গীর পুনরায় জানতে পারে তাকে হত্যা করে খসরুকে সিংহাসনে বসানেরে ষড়যন্ত্র চলছে । তাই সম্রাট খসরুকে অন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন । পরে অবশ্য তিনি খসরুর চোখের চিকিৎসা ব্যবস্থা করেন । একজন পারসিক চিকিৎসকের প্রচেষ্টাই একটি চোখ ভালো হয় । ১৬১৬ A.D খসরু রাজধানী কারাগারে ছিলেন । ১৬২০ A.D খরুরম শাহজাহান এর তত্ত্বাবধানে দায়িত্বভার দেওয়া হয় । ১৬২২ A.D খসরুকে হত্যা করা হয় । এই ভাবে একজন অতি সম্ভাবনাময় ,চরিত্রবান ও জনপ্রিয় শাহাজাদার জীবনের অবসান ঘটে।।
মেবারের সাথে যুদ্ধ (১৬১৫ৃ A.D):::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
সম্রাট আকবর সমসাময়িক কালে মেবারের রাজা রানা প্রতাপ সিংহ । রাজা প্রতাপ সিংহ দুঃসাহসিকতার সঙ্গে আকবরের আক্রমনে প্রতিরোধ করেন । রানা প্রতাপ সিংহ মৃত্যুর পর তার পুত্র অমর সিংহাসনে বসেন ।১৬১৪ A.D জাহাঙ্গীর শাহজাহান খুররম -কে মেবার রাজ্য প্রেরন করেন । খুররম এমন দৃঢ়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করেন যে অমর সিংহ সন্ধি প্রস্বাব করতে বাধ্য হন । জাহাঙ্গীর আকবরের উদার নীতি অনুসরন করে রানা প্রতাপ সিংহ সন্ধির প্রস্তাব মেনে নেন ।
প্রস্তাব গুলো ::::::::::::::::::::::::::::
(১)মুঘল সম্রাটের অধীন যুদ্ধ করার জন্য রনাকে এক হাজার সৈন্য প্রেরণ করে করতে হবে ।
(২) অমর সিংহের পুত্র করন সিংহ ৫০০০ মনসবদারের পদ লাভ করবেন ।
(৩) রানা ব্যক্তিগত মুঘল দরবারে উপস্থিত হওয়ার দায় হতে অব্যাহতি পাবেন ।
(৪) মুঘল হারেমে মেবারের কোন রাজকুমারী বা কোন উপঢৌকন পাঠাতে হবে না ।
(৫) অমর সিংহ পুত্র করন সিংহ কখনো রাজাদরবারে উপস্থিত হলে তাদেরকে সম্মানে গ্রহন করতে হবে এবং মেবার রাজ্যর কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি করা চলবে না ।
সম্রাট জাহঙ্গীর এর আমলে বাংলাদেশে আফগান বিদ্রোহ দমন ও সীমানা বিস্তার ::::::::::::::::::
আকবরের মতো জাহাঙ্গীরও বাংলাদেশে সম্প্রসারণ নীতি অনুসরন করেন ।তবে সুবাদার ইসলাম খানরে আগমনের পূর্বে রাজনৈতিক অবস্থা ছিল নাজুক ।আবরের সময় বাংলায় বারোভূইয়াদের বিদ্রোহ ছিলো ।কোচবিহার ও আসামের রাজারা মুগল েএলাকার উপর হামলা চালই । যখন ইসলাম খান বাংলাই সুবাদর হয়ে আসেন তখন কিছুটা অবস্তা পরিবর্তন হয় । তিনি সামরিক শক্তি অপেক্ষাকূটকৌশল বেশি পছন্দ করতেন ।সেই সময় বাংলার সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী বিদ্রোহৗী আফগান নেতা ছিলেন উসমান খান । ১৬০০ A.D ভদ্রক নামক স্থানে মুঘল ফৌজকে পরাজিত করেন । কিন্তু ১৬১২ A.D নেকুজান নামক স্থানে এক যুদ্ধে তিনি পরাজিত ও নিহত হন । বাংলাদেশে তিনিই শেষ স্বাধীন আফগান নেতা । সুবাদারদের উদার নীতি আফগানদের মন জয় করতে সহায়তা করেন । সামরিক প্রয়োজনে ইসলাম খান ১৬১০ A.D রাজমহল হতে রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তরিত করেন । এবং সম্রাটের নাম অনুযায়ী এর নাম করন করেন জাহাঙ্গীনগর । সুতরাং অন্যান্য সুবাদারার ইসলাম খনের মত সাফল্য লাভ করতে পারেন নিই । ১৬১২ A.D সমগ্য বাংলা মুঘলদের শাসনে আনয়ন করেন ।
জাহাঙ্গীরের দরবারে ব্রিটিশ রাজদূত::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
মুঘল সম্রজ্যের সমৃদ্ধি ইউরোপীয় সম্রাটগনকে আকৃষ্ট করে । আকবর এর শাসন আমলে এরলিজাবেথ ভারতে দূত প্রেরণ করেন । এরপর জাহাঙ্গীর রাজত্বকালে দুজন দূত দরবারে শুভাগমন করেন । ক্যাপ্টেন হকিন্স ছিলেন একজন সাহসী নাবিক । তিনি ১৬০৮ খ্রি . প্রথম জেমসের একটি পত্র নিয়ে মুঘল সম্রাটের দরবারে আসেন । জাহাঙ্গীর তাকে সাদরে গ্রহন করেন এবং তিনি সম্রাটের বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করেন । ক্যাপ্টেন হকিন্স ১৬০৮ খ্রি. থেকে ১৬১১ খ্রি পর্যন্ত মুঘল দরবারে আবস্থান করেন । কিন্তু পর্তুগীজদের বিরোধীদের জন্য তিনি দৌত্য কার্যে সফলতা লাভ করতে পারে নাই।
স্যার টমাসরো ::::::::: |
সম্রাট প্রথম জেমস ১৬১৫ খ্রি, স্যার টমাসরোকে জাহাঙ্গীরের দরবারে পাঠান । তিনি ছিলেন জেমসের একজন পন্ডিত ব্যক্তি । তিনি এই দৌত্যকার্যের জন্য উপযুক্ত ছিলেন । টমাস রো তিন বছর (১৬১৫-১৮) জাহাঙ্গীর এর রাজদরবারে ছিলেন । তিনি জাহাঙ্গীরের নিকট থেকে সুরাটে ইংরেজ বনিকদের ব্যবসা করার ফরমান লাভ করেন । টমাস রোর ডাইরি জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে একটি প্রমানিক ইতিহাস । তারা ডাইরিতে তিনি মুঘল দরবারে এর এর জাকজমক ও রীতিনীতি সম্পর্কে বিশাদ আলোচনা করেছেন । এ ডাইরিতে তিনি মুঘল দরবারের বহু উৎসব আনন্দের কথা উল্লেখ করেছেন।।
শাহজাহানের বিদ্রোহ (১৬২৩- ২৫ A.D)::::::::::::::::::::::::::::::::::
বিমাতার চক্রান্তে পিতা ও পুত্রের ভুলবুঝাবুঝি চরম সীমার পৌছলে শাহাজাহান বিদ্রো ঘোষনা করতে বাধ্য হন । তিনি আবদুর খান ই খনানের সহায়তায় প্রথমে আগ্রা দখল করতে অগ্রসর হন। সম্রাট পুত্রে বিদ্রোহে মর্মাহত হন । তিনি আত্মজীবনীতে বরেছেন আমি শাহজানকে সেহ্ন প্রদর্শন করেছি কিন্তু সে তার অযোগ্য ছিলো । তিনি পুত্র এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেন । তিনি পুত্র পারভেজ ও মহব্বত খানকে শাহাজান বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন । ১৬২৩ খ্রি.দিল্লির দক্ষিণে বালুচর নামক স্থানে শাহী ফৌজের নিকট পরাজিত হয়ে শাহজাহান দাক্ষিণাত্যে উপস্তিত হন ।শাহী ফৌজ তাকে তারিয়ে বেড়াতে থাকে শাহজান তেলিঙ্গনার মধ্যে দিয়ে বাংলায় চলে যান এবং বাংলা বিহার দুটি প্রদেশ দখল করেন । শাহজানের এমন দুর্দিনের সময় তার স্ত্রী মমতাজ গর্ভজাত আবস্থা তার পাশে ছিলো । শাহজাহান এলাহাবাদ অবরোধ করলে মুঘল বাহিনী বাধা দেয় । তিনি পরাজিত হয়ে অবরোধ উঠিয়ে পুনরায় দাক্ষিণ্যত্যে পলায়ন করেন । এখানে মুঘলদের চরম শুত্র আহম্মদগরের মন্ত্রী মালিক অম্বরের সাথে যোগ দিয়ে বুরহানপুর অবরোধ করেন ।পারভেজ ও মহব্বত খান পনারায় তার বিরুদ্ধ করেন । শাহজাহান অবরোধ উঠিয়ে নেই এবং পিতার নিকট ক্ষমা চাই । জাহাঙ্গীর তাকে ক্ষমা করেন । শাহাজান আনুগত্য প্রকাশ এর জন্য রোহটাস এবং আমিরগড় পিতার নিকট সমর্পন করেন এবং পুত্র দারা ও ঔরঙ্গজেবকে পিতার দরবারে প্রেরন করেন । তিনি নিজে সপরিবারে নাসিক নামক স্থানে চলে যান। শাহজাহান বিদ্রোহের ফলে মুঘলদের হাত থেকে কান্দারহার হাতছাড়া হয় ।।
মহব্বত খানের বিদ্রোহ(১৬২৬ A.D ):::::::::::::::::::::::::::::::::::::
মহব্বত খান জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালের শেষের দিকে বিশেষ প্রতিপত্তিশালী হয়ে উঠে । মহব্বত খান কাবুলের অধিবাসী ছিলেন । তার পিতার নাম ছিল গহর বেগ । মহব্বত খানের আসল নাম ছিল জমান বেগ । জহাঙ্গীর তাকে মহব্বত খানের উপাধি দেন । প্রথমে তিনি অশ্বরোহীর অধিনায়ক ছিলেন । পরে জাহাঙ্গীর তাকে সেনাপতি পদে উন্নীত করেন । সম্রাট ও রাষ্ট্রের অনুগত মহব্বত খান শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহ করেন এবং মুঘল সম্রাটকে বন্দি করেন ।
ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে, মহব্বত খান ও তার জামাতার প্রতি নূরজাহানের দুর্ব্যবহার এই বিদ্রোহের কারন । যুবরাজ পারভেজ এর সাথে মহব্বত খানের গভীর সম্পর্ক থাকায় নূরজাহান সন্দেহের কারন হয়ে দারায় । কিন্তু যত দিন শাহজাহান এর বিদ্রোহের সমস্যা ছিলো তত দিন নূরজাহান কিছু করে নিই । নুরজাহান মহব্বত খানরে সকল ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তাকে বাংলার গভর্নরের পদে নিযুক্ত করেন । কিন্তু পারভেজ দাক্ষিণাত্য হতে মহব্বত খানকে আসতে দিতে রাজি ছিলেন না । একবার নূরজাহান মহব্বত খানকে অবিলম্বে রাজধানীতে আসতে নির্দেশ দেন । তখন মহব্বত খান রাজদরবারে উপস্থিত হন । এর জন্য নূরজাহান নিজে মহব্বত খানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন । মহব্বত খান এ সমস্ত আচরন থেকে বুঝতে পারেন যে তোর ধ্বংস আসন্ন। সে সময় ১৬২৬ খ্রি. জাহাঙ্গীর ও নূরজাহান কাবুল যাত্রা করেছিলেন । সম্রাট ঝিলাম নদীর তীরে শিবির স্থাপনের নির্দেশ দেন । তখন মহব্বত খান সম্রাটের শিবির ঘিরে ফেলেন এবং সম্রাটকে বন্দি করেন । আর নূরজাহান ছদ্মবেশে পলায়ন করেন । ঝিরাম নদীর অপর পারে নূরজাহান পরিষদের সাথে পরামর্শ করে যুদ্ধ করার সিদ্ধন্ত নেই। কিন্তু মুঘল বাহিনী আক্রমন েব্যর্থ হয় এবং নূরজাহানও বন্দি হন । মহব্বত খানের সৈন্য বাহিনী তাকে কাবুরে নিয়ে যায় । নূরজাহান কৌশলে স্বামীকে মহব্বত খানের হাত থেকে উদ্ধার করেন । মহব্বত খান তখন নিজের বিপদ বঝতে পেরে দাক্ষিণাত্যে শাহজাহানের নিকট পারায়ন করেন । ।
সম্রাট জহাঙ্গীর সাহিত্য::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
আকবরের মত জাহাঙ্গীর ও ভাষা ,সাহিত্যর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । প্রপিতামহ অনুসারে সম্রাট জাহাঙ্গী আত্মজীবনী রচনা করেন তার নাম তুজুক- ই - জাহাঙ্গীর । জাহাঙ্গীর সময় উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো - মাসরি -ই- জাহাঙ্গীর , ইকবাল নামা -ই - জাহাঙ্গীর ।
মুঘল চিত্রকলায় সম্রাট জাহাঙ্গীর অবদান :::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
সম্রাট জাহাঙ্গীর শসনমলেই মুঘল চিত্রশিল্পের স্বর্ণ যুগ শুরু হয় । পিতার ন্যায় জাহাঙ্গীর ও চিত্র শিল্পের প্রতি আগ্রহ ছিলো । তিনি নিজেও ছিলেন দক্ষ চিত্রকর । তিনি তার আত্মজীবীতে লিখেছেন - যে কনো চিত্র দেখে তিনি জীবিত বা মৃত শিল্পীর নাম বলে দিতে পারতেন । একসাথে অনেকজন চিত্র অংকন করলে কোন অংশ কার তা বলে দিতে পারতেন ।
সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজনৈতিক ঘটনা , প্রাকৃতিক দৃশ্য জীবজন্তু , পুষ্প প্রভৃতি প্রকৃতিবাদী চিত্রের অতিরিক্ত উৎসাহী ছিলেন । তিনি এমন প্রকৃতি -পাগল ছিলেন যে, যখনই কোথাও যেতেন তখন সঙ্গে নিতেন দুই বা তিন জন রাজকীয় চিত্রকর । রাজকীয় চিত্রকরগন প্রায়ই সম্রাট জাহাঙ্গীর ও তার সভাসদগনের প্রতিকৃতি আকঁতেন ।
জাহাঙ্গীরের আমলের শিল্পী সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না । কারন অঙ্কিত চিত্র শিল্পীগনের নাম উল্লেখযোগ্য চিত্র কর ছিলেন - আবুল হাসান । সম্রাট আবুল হাসানকে নাদির -উজ - জামান উপধিতে সম্মনিত করেছিলেন। ফারুখ বেগ - ছিলেন বিপুল কীর্তিসম্পন্ন ,খুব বিখ্যাত ।জীবজন্তুর প্রতিকৃতি চিত্রকর ছিলেন - মনসুর । ভারতীয় চিত্রশিল্পে মনোহর ও গোবধন উল্লেকযোগ্য ছিলেন । জাহাঙ্গীর এসব শিল্পীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি চিত্রশালা নির্মান করেছিলেন । জাহাঙ্গীর একজন চিত্র - সংগ্রাহক ও ছিলেন । তার চিত্রগুলোর মধ্যে ওস্তাদ মুনসুর এর আকাঁ সাইবেরীয় সারসটি আজও আনেক বিস্ময় জাগায় । এটি এমন কলকাতার যাদু ঘরে সংরক্ষিত আছে । ইউরোপীয় পর্যটক স্যার টমাস রো চিত্রকলার প্রতি জাহাঙ্গীরে আনুরাগ ভূয়স ী প্রশংসা করেছিরেন ।। ।
সম্রাটে জাহাঙ্গীরের উপর নূরজাহানের প্রভাব:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::শাহজাহানের বিদ্রোহ (১৬২৩- ২৫ A.D)::::::::::::::::::::::::::::::::::
বিমাতার চক্রান্তে পিতা ও পুত্রের ভুলবুঝাবুঝি চরম সীমার পৌছলে শাহাজাহান বিদ্রো ঘোষনা করতে বাধ্য হন । তিনি আবদুর খান ই খনানের সহায়তায় প্রথমে আগ্রা দখল করতে অগ্রসর হন। সম্রাট পুত্রে বিদ্রোহে মর্মাহত হন । তিনি আত্মজীবনীতে বরেছেন আমি শাহজানকে সেহ্ন প্রদর্শন করেছি কিন্তু সে তার অযোগ্য ছিলো । তিনি পুত্র এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেন । তিনি পুত্র পারভেজ ও মহব্বত খানকে শাহাজান বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন । ১৬২৩ খ্রি.দিল্লির দক্ষিণে বালুচর নামক স্থানে শাহী ফৌজের নিকট পরাজিত হয়ে শাহজাহান দাক্ষিণাত্যে উপস্তিত হন ।শাহী ফৌজ তাকে তারিয়ে বেড়াতে থাকে শাহজান তেলিঙ্গনার মধ্যে দিয়ে বাংলায় চলে যান এবং বাংলা বিহার দুটি প্রদেশ দখল করেন । শাহজানের এমন দুর্দিনের সময় তার স্ত্রী মমতাজ গর্ভজাত আবস্থা তার পাশে ছিলো । শাহজাহান এলাহাবাদ অবরোধ করলে মুঘল বাহিনী বাধা দেয় । তিনি পরাজিত হয়ে অবরোধ উঠিয়ে পুনরায় দাক্ষিণ্যত্যে পলায়ন করেন । এখানে মুঘলদের চরম শুত্র আহম্মদগরের মন্ত্রী মালিক অম্বরের সাথে যোগ দিয়ে বুরহানপুর অবরোধ করেন ।পারভেজ ও মহব্বত খান পনারায় তার বিরুদ্ধ করেন । শাহজাহান অবরোধ উঠিয়ে নেই এবং পিতার নিকট ক্ষমা চাই । জাহাঙ্গীর তাকে ক্ষমা করেন । শাহাজান আনুগত্য প্রকাশ এর জন্য রোহটাস এবং আমিরগড় পিতার নিকট সমর্পন করেন এবং পুত্র দারা ও ঔরঙ্গজেবকে পিতার দরবারে প্রেরন করেন । তিনি নিজে সপরিবারে নাসিক নামক স্থানে চলে যান। শাহজাহান বিদ্রোহের ফলে মুঘলদের হাত থেকে কান্দারহার হাতছাড়া হয় ।।
মহব্বত খানের বিদ্রোহ(১৬২৬ A.D ):::::::::::::::::::::::::::::::::::::
মহব্বত খান জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালের শেষের দিকে বিশেষ প্রতিপত্তিশালী হয়ে উঠে । মহব্বত খান কাবুলের অধিবাসী ছিলেন । তার পিতার নাম ছিল গহর বেগ । মহব্বত খানের আসল নাম ছিল জমান বেগ । জহাঙ্গীর তাকে মহব্বত খানের উপাধি দেন । প্রথমে তিনি অশ্বরোহীর অধিনায়ক ছিলেন । পরে জাহাঙ্গীর তাকে সেনাপতি পদে উন্নীত করেন । সম্রাট ও রাষ্ট্রের অনুগত মহব্বত খান শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহ করেন এবং মুঘল সম্রাটকে বন্দি করেন ।
ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে, মহব্বত খান ও তার জামাতার প্রতি নূরজাহানের দুর্ব্যবহার এই বিদ্রোহের কারন । যুবরাজ পারভেজ এর সাথে মহব্বত খানের গভীর সম্পর্ক থাকায় নূরজাহান সন্দেহের কারন হয়ে দারায় । কিন্তু যত দিন শাহজাহান এর বিদ্রোহের সমস্যা ছিলো তত দিন নূরজাহান কিছু করে নিই । নুরজাহান মহব্বত খানরে সকল ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তাকে বাংলার গভর্নরের পদে নিযুক্ত করেন । কিন্তু পারভেজ দাক্ষিণাত্য হতে মহব্বত খানকে আসতে দিতে রাজি ছিলেন না । একবার নূরজাহান মহব্বত খানকে অবিলম্বে রাজধানীতে আসতে নির্দেশ দেন । তখন মহব্বত খান রাজদরবারে উপস্থিত হন । এর জন্য নূরজাহান নিজে মহব্বত খানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন । মহব্বত খান এ সমস্ত আচরন থেকে বুঝতে পারেন যে তোর ধ্বংস আসন্ন। সে সময় ১৬২৬ খ্রি. জাহাঙ্গীর ও নূরজাহান কাবুল যাত্রা করেছিলেন । সম্রাট ঝিলাম নদীর তীরে শিবির স্থাপনের নির্দেশ দেন । তখন মহব্বত খান সম্রাটের শিবির ঘিরে ফেলেন এবং সম্রাটকে বন্দি করেন । আর নূরজাহান ছদ্মবেশে পলায়ন করেন । ঝিরাম নদীর অপর পারে নূরজাহান পরিষদের সাথে পরামর্শ করে যুদ্ধ করার সিদ্ধন্ত নেই। কিন্তু মুঘল বাহিনী আক্রমন েব্যর্থ হয় এবং নূরজাহানও বন্দি হন । মহব্বত খানের সৈন্য বাহিনী তাকে কাবুরে নিয়ে যায় । নূরজাহান কৌশলে স্বামীকে মহব্বত খানের হাত থেকে উদ্ধার করেন । মহব্বত খান তখন নিজের বিপদ বঝতে পেরে দাক্ষিণাত্যে শাহজাহানের নিকট পারায়ন করেন । ।
সম্রাট জহাঙ্গীর সাহিত্য::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
আকবরের মত জাহাঙ্গীর ও ভাষা ,সাহিত্যর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । প্রপিতামহ অনুসারে সম্রাট জাহাঙ্গী আত্মজীবনী রচনা করেন তার নাম তুজুক- ই - জাহাঙ্গীর । জাহাঙ্গীর সময় উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো - মাসরি -ই- জাহাঙ্গীর , ইকবাল নামা -ই - জাহাঙ্গীর ।
মুঘল চিত্রকলায় সম্রাট জাহাঙ্গীর অবদান :::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
সম্রাট জাহাঙ্গীর শসনমলেই মুঘল চিত্রশিল্পের স্বর্ণ যুগ শুরু হয় । পিতার ন্যায় জাহাঙ্গীর ও চিত্র শিল্পের প্রতি আগ্রহ ছিলো । তিনি নিজেও ছিলেন দক্ষ চিত্রকর । তিনি তার আত্মজীবীতে লিখেছেন - যে কনো চিত্র দেখে তিনি জীবিত বা মৃত শিল্পীর নাম বলে দিতে পারতেন । একসাথে অনেকজন চিত্র অংকন করলে কোন অংশ কার তা বলে দিতে পারতেন ।
সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজনৈতিক ঘটনা , প্রাকৃতিক দৃশ্য জীবজন্তু , পুষ্প প্রভৃতি প্রকৃতিবাদী চিত্রের অতিরিক্ত উৎসাহী ছিলেন । তিনি এমন প্রকৃতি -পাগল ছিলেন যে, যখনই কোথাও যেতেন তখন সঙ্গে নিতেন দুই বা তিন জন রাজকীয় চিত্রকর । রাজকীয় চিত্রকরগন প্রায়ই সম্রাট জাহাঙ্গীর ও তার সভাসদগনের প্রতিকৃতি আকঁতেন ।
জাহাঙ্গীরের আমলের শিল্পী সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না । কারন অঙ্কিত চিত্র শিল্পীগনের নাম উল্লেখযোগ্য চিত্র কর ছিলেন - আবুল হাসান । সম্রাট আবুল হাসানকে নাদির -উজ - জামান উপধিতে সম্মনিত করেছিলেন। ফারুখ বেগ - ছিলেন বিপুল কীর্তিসম্পন্ন ,খুব বিখ্যাত ।জীবজন্তুর প্রতিকৃতি চিত্রকর ছিলেন - মনসুর । ভারতীয় চিত্রশিল্পে মনোহর ও গোবধন উল্লেকযোগ্য ছিলেন । জাহাঙ্গীর এসব শিল্পীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি চিত্রশালা নির্মান করেছিলেন । জাহাঙ্গীর একজন চিত্র - সংগ্রাহক ও ছিলেন । তার চিত্রগুলোর মধ্যে ওস্তাদ মুনসুর এর আকাঁ সাইবেরীয় সারসটি আজও আনেক বিস্ময় জাগায় । এটি এমন কলকাতার যাদু ঘরে সংরক্ষিত আছে । ইউরোপীয় পর্যটক স্যার টমাস রো চিত্রকলার প্রতি জাহাঙ্গীরে আনুরাগ ভূয়স ী প্রশংসা করেছিরেন ।। ।
(১) নূরজাহানের গুনাবলি::::::::::::::::::::::::::::::::
১৬১১খ্রি. সম্রাট নূরজাহানকে বিয়ে করেন । বিবাহের পর জাহাঙ্গীর তার রুপে মুগ্ধ হয়ে তার নাম রাখেন হারেমের আলো ।নূরজাহান যে কনো জটিল সমস্যা সহজে বুঝে ফেলত ।সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিত । তিনি অত্যন্ত বিদুষী ও ছিলেন ।
(২)নূরজাহানের যুদ্ধ বিদ্যা:::::::::::::::::::::::::::
নূরজাহান কিবল কাব্য আর কলা চর্চাই করেন নি , তিনি যুদ্ধে ও পারদর্শী ছিলেন । তিনি ভলো তীর ছুড়তে পরতেন । সম্রাটের সাথে তিনি শিকারেও যেতেন । অল্পদিনের মধ্যে মুঘল দরবারে নূরজাহানের একটি শক্তিশালি দল গঠিত করেন । সেই দলে ছিল নুরজাহানের বাবা , আসফ খান (মমতাজ এর বাব) শাহাজাদা খররম ও মহব্বত খান ।
(৩)স্নেহ প্রবনতা::::::::::::::::::::::::::::::::::
নুরজাহানের মধ্যে দয়া মায়ার যথেষ্ট সমাবেশ ছিল । তিনি দরিদ্র ব্যক্তিদের সাহায্য করতেন । তিনি মুসলিম কন্যাদের বিবহের অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন । আত্মীয় পরিজনকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন । এসব গুন জাহাঙ্গীরকে আকৃষ্ট করেছিল ।
(৪)ক্ষমতা বিস্তার:::::::::::::::::::::::::
নূরজাহান দরবারে অত্যধিক ক্ষমতা বিস্তার করেছিলেন । সিংহাসনের উত্তরাধিরকার কে পাবেন তাও নূরজাহান ঠিক কতেন । দরবারের কোন গুরুতর সিদ্ধান্ত তাকে না জানিয়ে নেয়া সম্বব ছিল না । তিনি কোন দক্ষ ও স্বাধীনচেতা অভিজাত কর্মচারী সহ্য করতে পারতেন না । এই সব কারনে দরবারে দুই শ্রেনির ্উদ্ভব ঘটে এবং বিরোধ আসন্ন।
(৫)নূরজাহানের চক্র গঠন ::::::::::::::::::::::::::::::
নূরজাহান জাহাঙ্গীরকে পুতুল পরিনত করেন । তিনি তার পিতার পরিবারের লোকজনকে উচ্চ পদে নিয়োগ দেন । নূরজাহান কৃপা না হলে কোন নিয়োগ দেয়া যেত না ।
শাহারিয়াকে সিংহাসনে দানের চক্রান্ত::::::::::::::::::::::::::::::::::
সম্রাট জাহাঙ্গীর - এর মৃত্যু পর শাহজাহানের এর সৎ ভাই শাহরিয়াকে সম্রাট বলে ঘোষনা করে । শহজাহান তখন দাক্ষিনত্যে ছিলেন । এমত অবস্থায় শাহজাহান এর শ্বশুর আসফ খান সৈন্য সমান্ত সহায়তায় শাহরিয়াকে বন্দি করেন েএবং বন্দী অবস্থায় শাহরিয়াকে অন্ধ করে দেয়া হয় । অবশেষ সম্রাট শাহজাহান ১৬২৮ খ্রি. সিংহাসনে বসেন ।।।
জাহাঙ্গীরের মৃত্যু:::::::::::::::::::::::::::::::
সম্রাটের স্বাস্থ্য ক্রমাগত ভেঙে পড়ছিল । চিকিৎসকেরা তাকে সুস্থ করে তুলেতে ব্যর্থ হন ।মৃত্যুর পূর্বে জহাঙ্গীর লাহোর ও কাশ্মিরের মাঝখাণে বাইরামকাল নামক স্থানে শিকারের উদ্দেশ্য শিবির অবস্তান করেছিলেন । এইখানে ১৬২৭ খ্রি. ১৮ অক্টোবর তিনি শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন লাহোরের শাহদারায় তার মরদেহ সমাধি করা হয় ।
I understand your comment
ReplyDelete