রাজা ভূপিন্দর সিং
বংলার ইতিহাম যতটা সুন্দর মনে হয় ততটা সুন্দর নয় । কারন এই দেশে অনেক শাসক ছিলো যারা ছিলো অত্যাচারী,জুলুমকারী, নিষ্ঠুর ও শোষন কারী । তবে বিভিন্ন সময় এমন শাসক এসেছেন যারা ছিলো যৌনতার প্রতি তীব্র আগ্রহ। তেমন একজন শাসক ভূপিন্দর সিং।
তিনি ছিলেন পাতিয়ালার মহারাজা। ভূপিন্দর সিং পাতিয়ালার মতি বাগ রাজপ্রাসাদে ১৮৯১ সালে জন্ম গ্রঞন করেন। তিনি মাত্র ৯ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন।তিনি সাবালক হওয়ার পর ব্রিটিশরা তাকে পাতিয়ালার স্টেটের পূর্ন শাসনভার দেন।তার ক্রিকেটের প্রতি ছিল তীব্র আগ্রহ ।তিনি ইতালির জেনারেল স্টাফ হিসাবে কাজ করেছেন। ভূপিন্দর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সম্মানসূচক দায়িত্ব পান। তাকে ১৯৩১ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদান্নাতি করা হয়।
ইম্পেরিয়াল ওয়্যার কাউন্সিল এ তিনি ছিলেন ভারতীয় প্রতিনিধি। শিখদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন গোল টেবিল বৈঠকে। রনজি ট্রোফির জন্যেও বহু কিছু করেছেন। নিজে তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলেওছেন। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাতিয়ালার। তার আমলে পাতিয়ালায় চলত মোনোরেলও।বিলাসিতায় কার্পণ্য করতেন না কখনো। মহারাজার শখ ছিলও আকাশচুম্বী। পাতিয়ালার মতি বাগ রাজপ্রাসাদে ভুপিন্দর সিংয়ের জন্ম। আইচিসন কলেজে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। ৯ বছর বয়সে স্বীয় পিতা মহারাজা রাজিন্দর সিংয়ের দেহাবসানের ফলে ৯ নভেম্বর, ১৯০০ তারিখে পাতিয়ালার মহারাজার উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত হন। নাবালক থাকায় আঠারো বছর বয়স হবার পূর্ব-পর্যন্ত রাজপ্রতিনিধিত্বকারী সংঘ তার পরিবর্তে দায়িত্ব পরিচালনা করে। ১ অক্টোবর, ১৯০৯ তারিখে আংশিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। অতঃপর ৩ নভেম্বর, ১৯১০ তারিখে ভারতের ভাইসরয় চতুর্থ আর্ল মিন্টো পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতাভার প্রদান করেন।
ভূপিন্দর সিং প্রথম ভরতীয় যিনি প্রথম সমস্ত একটি এয়ারলাইন্স কিনেছিলেন। যার মালিক হন ব্রিটিশ। তিনি এক বিশাল পরিমানের সোনা দেন ফরাসির অলঙ্কার নির্মাতা কার্তিয়েরকে। পেটিকায় অন্য দামী পাথরের সঙ্গে ছিল বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম হিরে। সেসব দিয়ে তৈরি হয়েছিল বিখ্যাত পাতিয়ালা নেকলেস। তখনই এর দাম ছিল ২৫ মিলিয়ন ডলার।নেকলেসে ওই বড় হিরা সহ ছিল মোট ২৯৩০টি হিরে এবং অন্যান্য দুর্মূল্য পাথর। এই কণ্ঠহার রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যায় তার মৃত্যুর পরে। ব্রিটিশ সরকার দাবি করেছিল, প্রয়াত মহারাজ ভূপিন্দর সিং-এর প্রথমা স্ত্রী সেটা উপহার দিয়েছিলেন রানি মেরিকে। দিল্লি দরবারে‚ রানির প্রথমবার ভারত সফর উপলক্ষে। এই ঐতিহাসিক নেকলেস পরে নানা হাত ঘুরে আংশিক পাওয়া যায়।
গাড়ির প্রতি ভূপিন্দর সিং ছিলো এক বিশাল টান। তার ২০ টির ও বেশী ছিলো রোলস রয়েস। তার একটি মার্সিডিজ মেব্যাক ছিলো সেটা না কি স্বয়ং হিটলার তাকে উপহার দিয়েছিলেন।একবার ইংল্যান্ডের রাজাকে আমন্ত্রন করেছিলেন ভূপিন্দর তার জন্য তিনি ১৪০০ নতুন বাসন তৈরী করেছিলেন। তা এখন পর্যন্তও নিলাম হচ্ছে। তার আসক্তি ছিলো নারী সঙ্গে। তার ১০ জন স্ত্রী মোট ৮৮ জন সন্তান ছিলো। তার ছিলো বিশাল হারেম সেখানে ৩৩০ জনের মত যৌনদাসী থাকতো। সেখানে যে কোন সময় মেতে উঠতেন ভূপিন্দর সিং যৌনতায়।সেখানে অন্য মহারাজাদের যাতায়েত ছিলো। জানা যায় ভূপিন্দর এমন এক মহল ছিলো সেখানে শুধু প্রবেশ করতে পারতো নগ্ন পুরুষ ও নারী।সে যৌনতার জন্য একটি সুইমিং পুল বানিয়েছিলেন।তার চার পাশে বসে থাকনো নগ্ন নারী। তাছাড়া তার্ অনেক উপ-পন্তী ছিলো।
ভূপিন্দর সিং তান্ত্রিক যৌনতার বিশ্বাসী ছিলো। এই তান্ত্রিক যৌনতায় একজন তান্ত্রিক তাকে সাহায্য করতো তার নাম প্রকাশনন্দ ঝা। তান্ত্রিত যৌনতা হলো এমন যে
দেবীমূর্তির সামনে ডাকা হতো ১৫০ থেকে ৪০০ জন মেয়েকে। বেশিরভাগই কুমারী।
মহিষবলির পরে গভীর রাত পর্যন্ত পূজা করতেন বাঘছাল পরিহিত প্রকাশ তান্ত্রিক।
সেখানে মহারাজার ঘনিষ্ঠ জন ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার ছিল না।পূজার পরে দেবীমূর্তির সামনে বিবস্ত্র হতে বলা হতো ওই মেয়েদের। তারপর
তান্ত্রিকের নির্দেশে কয়েকজন মদমত্ত যুবক এসে মেয়েদের দেহে সুরা ঢালত। বলি দেয়া পশুরক্তের সঙ্গে মিশে যেত হতভাগ্য
তরুণীদের রক্ত। সদ্য কুমারীত্ব হারানো হতভাগ্য তরুণীদের আর্তচিৎকার মিশে
যেত অন্ধকারে।
ভূপিন্দর সিং মাত্র ৪৭ বছর বয়েসে মারা যান।এরপর তার বড় পুত্র যাদবেন্দ্র সিং সিংহাসনে বসেন।
ভূপিন্দর সিং এর সন্তান সমূহঃ |
No comments:
Post a Comment